আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন কিছু কিছু মানুষের কানের গোড়ায় সামনের দিকে খুব ছোট, সহজে বোঝা যায় না এমন একটি গর্ত থাকে। এই এলাকায় কানের তরুনাস্থি মুখের সাথে যুক্ত হয়। এই উপসর্গটি মানুষের জন্মগত এবং ভ্রুনের গঠনের সময় তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কেবল ০.৯ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ০.৯ শতাংশ মানুষের কানে এই ধরনের ছিদ্র থাকে। অপরদিকে এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই পরিমান ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি দক্ষিন কোরিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই দেশের ৫ শতাংশ মানুষের কানে এই ধরনের ছিদ্র আছে।
কানের এই ছিদ্র একধরনের জন্মগত ত্রুটি যার নাম প্রিঅরিকুলার সাইনাস (preauricular sinus)। যদিও এটি ক্ষতিকর নয় তবে কখনো জীবাণুর আক্রমনে প্রদাহ তৈরি হতে পারে। এটি তৈরি হয় ভ্রুনের pharyngeal arches নামক কাঠামোতে।এই কাঠামো ভ্রুনাবস্থায় সকল মেরুদন্ডী প্রাণিতে দেখা যায়। স্তন্যপায়ী প্রানীতে এই অংশ মাথা এবং ঘাড়ের কাঠামো তৈরি করে। মাছের ক্ষেত্রে এটি কানকোতে রূপান্তরিত হয়।
নীল শুবিন নামক একজন বিবর্তন জীববিজ্ঞানীর মতে এটি মাছের কানকোর বিবর্তনীয় অবশেষ। যদিও এটি এখনো প্রমানীত হয়নি বা বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয় নি। তবে মানুষ যেহেতু গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাওয়া, অ্যাপেনডিক্স ইত্যাদির মতো নানাবিধ বিবর্তনীয় ত্রুটি বহন করে চলেছে সেহেতু এই ধারনা অমূলক কিছু নয়। [ iflscience.com অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক