১৯২০ এর দশক হতেই মানব সভ্যতা উড়ন্ত গাড়ির স্বপ্ন দেখছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুগল বা উবারের মতো কোম্পানীগুলো বলছে তারা নিত্যযাতায়তকারীদের জন্য দ্রুত এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য উড়ন্ত পরিবহন তৈরিতে ইচ্ছুক।
শীর্ষ বিমান প্রস্তুতকারী কোম্পানী এয়ারবাস তাদের প্রোজেক্ট ভাহানা (Vahana) এর মধ্য দিয়ে এই যজ্ঞে শামিল হয়েছে যারা স্বয়ংক্রিয় উলম্ব উড্ডয়ন এবং অবতরণ যান (VTOL) তৈরি করবে। এই ধরনের যানের উড্ডয়নের জন্য রানওয়ে’র প্রয়োজন নেই, কাজেই এগুলো উড়ন্ত গাড়ির বদলে দেখতে হেলিকপ্টারের মতোই বেশী হবে- তবে এগুলো প্রচলিত ট্যাক্সির মতোই কাজ করবে।
প্রোজেক্ট ভাহানার পরিচালক জ্যাক লভারিং বলেন এয়ারবাসের VTOL বাহনগুলো এক যাত্রীর সম্পূর্ন বৈদ্যুতিক আকাশযান হবে এবং এগুলো চারবছরের মধ্যে ২০২০ সালে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হবে। তিনি বলেন এই বাহনগুলোতে স্বয়ংচালিত গাড়িগুলোর মতোই লাইডার, রাডার এবং ক্যামেরা যুক্ত করার মাধ্যমে স্বয়ংচালিত করা হবে।
প্রোজেক্ট ভাহানা-র আওতায় উড়ন্ত গাড়িগুলোর মাধ্যমে Uber এর মতো ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা আছে। তবে Uber এর নিজেদেরই এই ধরনের ট্যাক্সি সার্ভিসের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানী তারা এই পরিকল্পনা নিয়ে ৯৮ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।
তবে যে কোম্পানীগুলো এই উড়ন্ত সেবা নিয়ে প্রতিযোগীতায় রয়েছে তাদের সর্বপ্রথম অত্যন্ত কঠোর নীতিমালার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং উড্ডয়ন ফেডারেশনের সম্মতি আদায় করতে হবে। এই সবকিছু মোকাবেলার জন্য কোম্পানীগুলোর একযোগেই কাজ করতে হবে।
এয়ারবাস কোম্পানী এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে যেখানে বিশাল শহরগুলোতে উড্ডয়ন খুবই স্বাভাবিক বিষয় হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই এই ধরনের পরিস্থিতি বাস্তবায়িত হবে। তাদের মতে সিলিকন ভ্যালি শহরটি এধরনের প্রথম শহরগুলোর একটি হবে এবং পথচারীদের মধ্যে উড্ডয়ন খুব জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
-বিজ্ঞান প্রত্রিকা ডেস্ক