বিজ্ঞান পত্রিকা

তিমি শিকার বন্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এদের গোবর

তিমির গোবরই হতে পারে এদের শিকার করা বন্ধের প্রয়োজনীয় প্রভাবক। তিমি শিকারের স্বর্গ জাপান, নরওয়ে কিংবা আইসল্যান্ডের এদের শিকার করার প্রধানত অযুহাত হচ্ছে এরা সাগরে মাছের পরিমান হ্রাস করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাগরে এদের প্রভাব সম্ভবতঃ ঠিক এর বিপরীত। তিমির গোবরের মাধ্যমে সাগরের মাছেদের পুষ্টিচাহিদা পুরণ হয় এবং মৎসসম্পদ বৃদ্ধি পায়।

গবেষনায় দেখা যায়, তিমির গোবর পানির পৃ্ষ্ঠে নানাবিধ পুষ্টি উপাদান বহন করে নিয়ে আসে যার মাধ্যমে ফাইটোপ্লাংকটন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফাইটোপ্লাংকট মূলতঃ শৈবাল জাতীয় জীব যা সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানের প্রথম স্তরের খাদ্য যোগায়। ক্রিল জাতীয় ক্রুদ্র চিংড়ি জাতীয় প্রানী এই ফাইটোপ্লাংটনের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে যেগুলো পরবর্তীতে যাবতীয় সামুদ্রিক জীবের খাদ্য সংস্থান করে।

বার্লিংটনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ভারমনের গবেষক জো রোমান বলেন, কেবলমাত্র বিগত দশ বছর ধরে আমরা পরিবেশের উপর প্রানীর প্রভাব বুঝতে পারছি। এমনকি মৃত্যুর পরেও পরিবেশের উপর একটি প্রানীর নানাবিধ প্রভাব থেকে যায়। তিমি তাদের প্রকান্ড শরীরে কার্বন ডাইঅক্সাইড জমিয়ে রাখে এবং এদের মৃতদেহ গভীর সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান টিকিয়ে রাখে।

২০১০ সালের একটি গবেষনায় দেখা যায় তিমির সংখ্যার এদের শিকার শুরুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলে এদের মৃতদেহের মাধ্যমে প্রতিবছর ১৬০,০০০ টন কার্বনডাইঅক্সাইড অপসারিত হবে।

Exit mobile version