বিজ্ঞান পত্রিকা

এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ব্রিটিশ নাগরিক

যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকগণ খুব সম্ভবতঃ এইচআইভির একটি নিরাময় খুঁজে পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল ঘোষনা করেছে নতুন চিকিৎসায় পরীক্ষাধীন থাকা ৫০ জন রোগীর রক্তে ভাইরাসটি না পাওয়ায় মনে করা হচ্ছে অভিনব এই চিকিৎসা পদ্ধতি সত্যিই কাজ করে এবং এইচআইভি থেকে পুরোপুরি আরোগ্য প্রদান করে। তবে  উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এই পদ্ধতি সবে মাত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং সত্যি এটি কার্যকর প্রতিষেধক কিনা তা কেবল সময়ই বলতে পারবে।

এই নতুন অবিষ্মরনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি তিনটি ধাপে প্রয়োগ করা হয়। প্রথম ধাপে মানবদেহের টি-সেলগুলোকে (মানুষের রোগপ্রতিরোধক যে কোষগুলোকে এইচআইভি ভাইরাস আক্রমন করে এবং ভাইরাসটির লাখ লাখ কপি তৈরি করে) বর্তমানে প্রচলিত এন্টি-রেট্রোভাইরাস ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকগণ রোগীদের দেহে অন্য একটি ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেন যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিবর্ধিত করে, এবং এর ফলে ইতিমধ্যে আক্রান্ত টি-সেলগুলোকে সনাক্ত ও ধ্বংস করে।

শেষ ধাপে, শেষ ধাপে চিকিৎসকগণ রোগীকে vorinostat নামক দ্বিতীয় একটি ঔষধ প্রদান করেন যা সুপ্ত টি-সেলগুলোকে জাগ্রত করে যা এই কোষগুলোকে এইচআইভি ভাইরাস সনাক্তকরণে এবং এগুলোর মুলোৎপাটনে বাধ্য করে। এই নতুন পদ্ধতিটি বলা হচ্ছে “kick and kill” পদ্ধতি।

আশা করা হচ্ছে নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি শরীরের একেবারে শেষ ভাইরাসটিও খুঁজে ধ্বংস করবে। এমনকি যেসব কোষে এই ভাইরাসটি সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকে এবং দীর্ঘদিন পরে আত্মপ্রকাশ করে সেসব কোষও নিষ্কৃতি পাবে না। এই শেষোক্ত সমস্যাটির কারণে চিকিৎসকগণ নিশ্চিত হতে পারেনা রোগী সত্যিই এইচআইভি মুক্ত হয়েছে কিনা।

Exit mobile version