বিজ্ঞান পত্রিকা

কৃত্রিম শিং উৎপাদন রক্ষা করতে পারে কমতে থাকা গন্ডারকে

বিংশ শতাব্দীর শুরুর ‍দিকে আফ্রিকা এবং এশিয়ায় জুড়ে ৫ লাখ গন্ডার থাকলেও বর্মানে তা প্রায় ২৯ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিশাল সংখ্যা হ্রাস এশিয়ার বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যতটা না গন্ডারের শিংয়ের অলংকরণের জন্য তার থেকে বেশি হচ্ছে অপ্রমাণীত ঔষধের কারণে। কালো বাজারে গন্ডারের শিং প্রতি পাউন্ড প্রায় ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। যা কিনা স্বর্ণ, কোকেন ও হেরোইনের দামকে অতিক্রম করে ফেলে। এখন পর্যন্ত এর চাহিদায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করায় সাফল্য আসেনি। জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানী পেমবিয়েন্ট এর সিইও ম্যাথু মার্কুসের মতে, “যদিও এটা সত্যিই নৈতিক নয়। তবুও আমরা একে বন্ধ করতে বলতে পারিনা। এই সাংস্কৃতিক চর্চা থ্যাংকসগিভিং ডে থেকেও পুরনো রীতি।”

জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানী পেম্বিয়েন্ট (Pembient) গন্ডারের শিং সরবরাহ কমানোর লক্ষ্যে একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তাঁরা 3D প্রিন্ট করা সংস্করনের শিং বাজারজাতকরণ করতে চাচ্ছেন। শিং গঠনের বাস্তবিক উপাদান প্রোটিন দিয়েই এগুলো নির্মান করা হবে। এর মানে হলো সত্যিকারের শিং থেকে এটা আলাদা হবে না, যদি তারা গবেষণাগারে পরীক্ষা ও করে থাকে। কারণ একটি নকল শিং তৈরী করা আসল শিং হস্তান্তর করার থেকে বেশি সহজতর হয়ে থাকে। তাঁরা এটা ঐতিহ্যবাহী কারীগরদের নিকট সুলভ মূল্যে বিক্রি করতে চাচ্ছেন এবং আশা করছেন এর মাধ্যমেই বাজারে শিংয়ের দাম নিম্নমুখী হবে। যার ফলে এসব বণ্য প্রাণী হত্যার কুফল ধীরে ধীরে কমে আসবে।

নিচের ভিডিওটিতে দেখুন কিভাবে একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানী 3D শিং মুদ্রিত করার মাধ্যমে এর বাজার মূল্য কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছেন।

-শফিকুল ইসলাম

 

Exit mobile version