অস্ট্রেলিয়ার গবেষকগণ একটি ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার ব্যবহার করে প্রাচীন মিশরীয় মমি করে রাখা একটি মরদেহের খুলি বিশ্লেষণ করে তার সম্ভাব্য মুখায়বব পুনঃনির্মান করেছেন। যদি মমিটি এমনিতেই একটি চমৎকার নিদর্শন এবং এটি হতে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা হতে অনেক অজানা তথ্য জানা যায় তবে গবেষকগণ বলছেন, এধরনের পুনঃনির্মান ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাচীনসভ্যতার রোগতত্ত্ব সম্বন্ধে জ্ঞান দান করবে।
গবেষণা দলের সদস্য মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভার্শা পিলব্রো বলেন, “এই প্রকল্প গহণের একটাই কারণ এবং এক অর্থে মমিটি নতুন জীবন দান করা। এর মাধ্যমে কেবল সাজিয়ে রাখাই নয়, বরং এই নারীর মহিমা আরো উচ্চতর মাত্রায় পৌঁছাবে। এই নারীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কিভাবে রোগতত্ত্ব আমাদের শরীরের আভ্যন্তরীন গঠন নিয়ন্ত্রন করেছে এবং জানতে পারবে কিভাবে একটি অঞ্চলের পরিবেশ সেই এলাকার সমগ্র জনসংখ্যার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।”
মজার বিষয় হচ্ছে মমিটির শুধু মাথার অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালার মধ্যে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া দিয়েছিলো যখন এর তত্ত্বাবধায়ক তদারকির জন্য সেই সংগ্রহশালা পরিদর্শন করছিলেন। গবেষক দলটির ধারনা এই মমির মাথাটি ১৯০০ সালের দিকে একজন প্রত্নতত্ত্ব অধ্যাপক ফ্রেডেরিক জোন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক রায়ান জেফারিস বলেন, “তাঁর মাথা উপরের দিকে ফেরিয়ে রাখা হয়েছে, কেননা এটিই সবচেয়ে সম্মানজনক অবস্থান। তিনি এক সময় অন্যসব সংগ্রহীত নমুনার মতোই জ্যান্ত মানুষ ছিলেন, এবং আমরা বিষয়টি ভুলে যেতে পারি না।”
মমিটিকে মুখাবয়ব প্রদান করে পুনর্নিমানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যখন জেফারি এর অভ্যন্তরে পচন শুরু হতে দেখেন। এই একটি বিশেষ ধরনের সমস্যা ছিলো, কারণ গবেষকদলের পক্ষে মমিটি খুলে সবকিছু ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ ছিলো না এবং এতে বরং উল্টো আরো ক্ষতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকত।