বিজ্ঞান পত্রিকা

হীরা দিয়ে পৃথিবী ঠান্ডা!

জলবায়ু বিজ্ঞানীরা এই ধরিত্রি রক্ষাকল্পে বিপুল পরিমান ভবিষ্যত প্রযুক্তির কথা ইতিমধ্যে ভেবে রেখেছেন। গ্রীন হাউজ ইফেক্ট প্রশমিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখার জন্য বিভিন্ন সময় গবেষকগণ নানারকম প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক প্রস্তাবনাটি অভিনব।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমন্ডলে বিপুল পরিমান অ্যালুমিনা এবং হীরার গুড়া ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। এইসব গুড়া সূর্যালোক উল্লেখযোগ্য পরিমান প্রতিফলিত এবং ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীতে তাপশোষন কমিয়ে দিতে পারে। তবে এধরনের ধারনা নতুন নয়। এর আগে সালফেট দ্রবণ ছড়িয়ে পৃথিবী শীতল করার ধারনা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সালফেট দ্রবণের সমস্যা হলো এটি ওজন স্তরের ক্ষতি করতে পারে এবং এর মাধ্যমে সালফিউরিক এসিড তৈরি হতে পারে যার ফলে এসিড বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু অ্যালুমিনা বা হীরা এইদিক থেকে নিরাপদ। এরা ওজনস্তরের সাথে কোনো বিক্রিয়ায় যায় না কিংবা পরিবেশ দূষনের জন্যও পরিচিত নয়। আর এই দু’য়ের মধ্যে হীরা অ্যালুমিনার চেয়ে দেড়গুণ বেশী কার্যকর। তাই হীরার গুড়াই প্রথম পছন্দ।

কৃত্রিমভাবে প্রতিকেজি হীরার মূল্যমান ১০০ ডলার এবং প্রতিবছর বায়ুমন্ডলে ছড়ানোর জন্য কয়েকলক্ষ টন হীরা প্রয়োজন হবে। তাই প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার হীরা ছিটানোর জন্য ব্যয় হবে। তবে গবেষকরা বলছেন অধিকমাত্রায় উৎপাদনে গেলে উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে আসবে যা পরিবেশ বিপর্যয়ের তুলনায় যথেষ্ট সাশ্রয়ী হবে।

তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অ্যালুমিনা বা হীরা উভয়েরই কিছু অজানা ঝুঁকি থেকে যেতে পারে। আগ্নেয়গিরির আগ্ন্যুৎপাতের গবেষণা থেকে সালফারের ক্ষয়-ক্ষতি সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যায়। কিন্তু এর এর বিপরীতে কঠিন বস্তুর কণা বাস্তবে বায়ুমন্ডলে কি ধরনের কাজ করবে সেই সম্বন্ধে প্রয়োগের আগে পুরোপুরি জানা সম্ভব নয়।

⚫ বিজ্ঞানপত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version