বিজ্ঞান পত্রিকা

দুধ হতে তৈরি ভোজ্য খাদ্য মোড়ক

মোড়ক খুলে খাবারটি খাওয়ার পর মোড়কটিও খেয়ে ফেলুন।

দোকান থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো শসা কেনার পর মোড়ক খুলে যদি পঁচা, গলে যাওয়া অবস্থা দেখতে পান, তাহলে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্লাস্টিকের মোড়কের একটা সীমা আছে। তাছাড়া মোড়কটি নিজেও একটা আপদ। সে নিজে সহজে পঁচে না, এবং ড্রেনের বিভিন্ন স্থানে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা ইত্যাদি সৃষ্টি করে।

প্লাস্টিকের প্রতি এই নির্ভরশীলতা রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগের গবেষকগণ স্বচ্ছ, সম্পূর্ণ ভোজ্য গরুর দুধের প্রোটিন থেকে খাবারের মোড়ক তৈরি করেছেন। এই মোড়কটি কেসিন (casein) নামক এক প্রকার দুগ্ধ প্রোটিন দিয়ে তৈরি, তাই নিরামিশাষীদের জন্য এটি কোনো সুসংবাদ দিচ্ছে না। গবেষকদলটি প্রথমে মোড়কটি তৈরি করেছিলেন শুধু কেসিন দিয়ে, তাতে এটি জলীয় বাষ্প শোষন করে সহজেই গলে যেত। পরবর্তীতে এতে সাইট্রাস পেকটিন যোগ করা হয়, যার ফলে এটি আদ্রতার বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রভাব রাখে।

প্লাস্টিকের চেয়েও কেসিন জাতীয় বস্তু দিয়ে তৈরি মোড়ক খাবারকে অক্সিজেনের সংস্পর্শ হতে দূরে রাখতে আরো বেশী কার্যকর। শুধু খাবারের মোড়কই নয়, শস্যের উপর এই নতুন বস্তুটি ছিটিয়ে দিয়ে এর স্যাঁতস্যাঁতে ভাব রোধ করা যায়। বর্তমানে এই কাজে চিনির আবরণ ব্যবহার করা হয়। গবেষকগণ এই বস্তুটিকে চিনি বা স্যুপ মিক্সের মধ্যে ব্যবহারের চিন্তা করছেন, যেই ক্ষেত্রে এটি সরাসরি পানিতে চালান করে দেওয়া যাবে এসব প্রস্তুতের সময়, তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্য এর বাইরে আরেকটি মোড়ক ব্যবহার করতে হবে এই খাবারগুলোকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য।

এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত ধারনা পাওয়ার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন।

⚫ বিজ্ঞানপত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version