নাসার পাঠানো পার্কার সোলার প্রোব সূর্যপৃষ্ঠের ৮১ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেছে। ইতিপূর্বে গত এপ্রিলে এটি সূর্যের বহিঃস্থ বায়ুমন্ডল করোনার অভ্যন্তরে ঢুকে যায়। নাসার একটি ঘোষনা হতে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
জন হপকিনস এপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যবরেটরির পার্কার প্রকল্পের বিজ্ঞানী নুর রাওয়াফি একটি ভিডিওতে বলেন, “অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। পার্কার সোলার প্রোবের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সূর্যের করোনার ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়া এবং আমরা এখন সেটাই করছি।”

১৯৫৮ সাল হতে নাসা সূর্যে একটি অনুসন্ধানী যান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। দশকের পর দশক ধরে গবেষণা এবং কালক্ষেপনের পর অবশেষে ২০১৮ সালে পার্কার সোলার প্রোব উৎক্ষেপণ করা হয়। এই অনুসন্ধানী যানটি একটি সর্পিলাকার গতিপথ ধরে ধীরে ধীরে সূর্যকে আবর্তন করে এগিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিলের সূর্যের নিকট দিয়ে অতিক্রমকালীন উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করে জানানো হয় এটি সূর্যের করোনা অতিক্রমকারী ইতিহাসের প্রথম নভোযানে পরিণত হয়েছে।
রাওয়াফি এক বিবৃতিতে বলেন, সূর্যের এমন নিকটবর্তী অবস্থানে পার্কার সোলার প্রোব এখন উড়ছে যে এটি সূর্যের বায়ুমন্ডলের যে পর্যায়ে চৌম্বক প্রভাবের স্তর রয়েছে সেখানে পৌঁছে গেছে যা এর আগে কখনো সম্ভব হয়নি। চৌম্বক ক্ষেত্রের উপাত্তে আমরা তার আলামত দেখতে পেয়েছি এবং তোলা ছবিতে প্রকৃত অবস্থাও দেখেছি। আমরা বাস্তবিকই নভোযানটিকে করোনার কাঠামোর মধ্যে দেখতে পেয়েছি যা পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় পর্যবেক্ষণ করা যায়।
যাত্রা পথে অনুসন্ধানী যানটি সূর্যের করোনা এবং সৌর ঝড়ের নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ করছে। এটি সৌড়ঝড়ের গতি প্রকৃতি এবং উৎসও আবিষ্কার করেছে। এটি আল্ফভেন ক্রিটিক্যাল সারফেস দেখিয়েছে যেটি সৌর বায়ুমন্ডলের সমাপ্তি এবং সৌর ঝড়ের সূচনার সীমা হিসেবে পরিচিত। এই অনুসন্ধানী যানের আবিষ্কার হতে বিজ্ঞানীগণ মহাশূন্যের বিরূপ আবহাওয়া বুঝতে ও পূর্বাভাস দিতে পারবেন যার কারণে পৃথিবীর ও স্যাটেলাইটসমূহের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক