
চীনের হুবেই প্রদেশের ৫৫ বছর বয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে প্রথম করোনা বা COVID-19 আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে। এই রোগীর মাধ্যমেই পরবর্তীতে চীন সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে রোগটির সংক্রমণ ঘটে।
এই ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরে ডাক্তাররা প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করার মাসখানেক পূর্বে। সেই সময় কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করেছিল ভাইরাসটি চীনের উহানের কোনো একটি কাঁচাবাজার হতে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রথম সম্ভাব্য রোগীটি সনাক্ত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে কাঁচাবাজারের সাথে ওই ব্যক্তির কোনো যোগাযোগ নেই। সেই সাথে ডিসেম্বেরের ১ তারিখের আরেকজন খুঁজে পাওয়া রোগীর সাথেও কাঁচাবাজারের যোগাযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই তথ্যটি জানুয়ারির ২০ তারিখে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞানীরা এখন সন্দেহ করছেন SARS-CoV-2 ভাইরাসটি বাদুরের মধ্যে বিকশিত হয়েছিলো এবং কোনোভাবে অন্য কোনো প্রাণী যেমন, খুব সম্ভবতঃ বনরুইয়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। ভাইরাসটি এমনভাবে বিকাশিত হয়েছে যেন এটি কোনো মধ্যবর্তী বাহকের প্রয়োজন ছাড়াই মানুষ হতে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সংক্রমণ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীরা এখন ভাইরাসটির আদি উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। যেমন, ডাক্তাররা যদি প্রাথমিক রোগাক্রান্ত ঘটনাটি খুঁজে পান তাহলে তাঁরা হয়তো এর প্রানীজ ধারকটিকে সনাক্ত করতে পারবেন। তাঁরা দেখতে পেয়েছেন নভেম্বরের ১৭ তারিখের ঘটনাটির পর ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন একটি বা দুটি করে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এর পরবর্তীতে দৈনিক আক্রান্তের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডিসেম্বরের ২০ তারিখ নাগাদ প্রতিদিন ৬০ টিতে পৌঁছেছে।
ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে হুবেই প্রাদেশিক হাসপাতালের শ্বাঁসতন্ত্র বিভাগের প্রধান ড. ঝ্যাং জিজিয়ান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ সম্বন্ধে অবহিত করেন। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০ জন ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সময় অবশ্য ডাক্তাররা এই সংখ্যাটি জানতেন না, বরং পরবর্তীতে খুঁজে বের করা হয়। [Livescience অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক
করোনাভাইরাস বিষয়ে আরো জানতে পড়ুন:
ফেস মাস্ক কি করোনাভাইরাস হতে সুরক্ষা দিতে পারে?
করোনার প্রস্তুতিতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন কেমন করে
কেন এই নতুন করোনাভাইরাস গবেষণাগারে বানানো নয়
কেন করোনাভাইরাস টেস্টিং একটি দুরূহ প্রক্রিয়া
[…] […]