ডায়াবেটিস রোগ বিশেষ করে টাইপ-১ ডায়বেটিস মোকাবেলায় কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় একটি বহু আলোচিত বিষয়ের নাম। এমনকি, সম্প্রতি এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা প্রায়োগিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং এর ফলে এই প্রযুক্তি ঘরোয়াভাবে ব্যবহারের সম্ভাবনা আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অফ ডায়াবেটিসের একটি জার্নাল ডায়াবেটোলোজিয়ায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয় যে, ২০১৮ সালের শুরুর দিকেই কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় বাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে।

কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় এমন একটি যন্ত্র যা টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজ নিরীক্ষণ করবে এবং রোগীর শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ইনসুলিনের মাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করবে। প্রচলিত প্রযুক্তির একটি গ্লুকোজ মিটার কিছু উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রোগীর শরীরে ইনসুলিন পাম্প করে থাকে। কিন্তু এগুলি দুটি পৃথক উপাদান এবং এই কাজ দুটিকে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে একীভূত করা হয়েছে যার জন্য ক্রমাগতভাবে কোন পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন পড়ে না।
এই প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনে একাধিক প্রতিষ্ঠান করে যাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- হোভর্কা, কোভাত্চভ এবং ফিলিপ, ইতিমধ্যে তাদের প্রচেষ্টায় কোম্পানিগুলির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় নিছক কোন ইনসুলিন পাম্প ও গ্লুকোজ মিটারের সংমিশ্রণ নয়। এটি মূলত একটি কৃত্রিম অঙ্গ যা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ডায়াবেটিস প্রযুক্তিকে উন্নত করতে সক্ষম হবে। এসবের মধ্যে একটি হচ্ছে, গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ- এটি মূলত একজন ব্যাক্তির সাথে তার ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবর্তনশীলতা নিবারণ করবে।
২০১৮ সালের সময়সীমা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর মতো সংস্থাগুলির অনুমোদনের জন্যই ধরা হয়েছে, বর্তমানে যেখানে প্রস্তাবিত কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়ের পর্যালোচনা চলছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যতদূর সম্ভব ২০১৭ সালেই এর অনুমোদন পাওয়া যাবে। [futurism.com অবলম্বনে]
-শফিকুল ইসলাম