জাপানের টোকাচি নদীর মোহনায় ভেসে আসা এই স্ফটিক-স্বচ্ছ বরফ খন্ডগুলোকে বালির উপরে ছড়িয়ে পড়া রত্ন পাথরের মতোই দেখায়। এবং বিশ্বের আরো কোনো স্থানে এই ধরনের বরফ খুঁজে পাওয়ার কোনো নজির নেই।
এই বিশেষ ধরনের বরফখন্ডগুলোকে সংগত কারণেই ‘রত্ন বরফ (Jewel ice)’ কিংবা টোকাচি নদী বরফ নামে ডাকা হয়। এবং ওগুলো তৈরি হয় লবনমুক্ত নদীর নির্মল পানি, শূন্যের নিচের তাপমাত্রা এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের মাধ্যমে ।
জাপানের উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোর সমুদ্রতটে ভেসে আসা এই বরফগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির খুঁজে বের করার আগে খুব একটা নজরে আসে নি। কিন্তু এটি এখন এতোই বিখ্যাত যে স্থানীয় পর্যটন গাইড বইতেও এই বরফের ঘটনা ঠাঁই পেয়েছে। এবং প্রতিবছর জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারীতে এই বরফগুলো প্রচুর সংখ্যক আলোকচিত্রীকে এই অঞ্চলে টেনে আনছে।
波に打ち上げられた無数の氷たち。
星と月の光を浴び、夜明けの空を映し、まるで天空の宝石のようでした。
(今朝未明から明け方、北海道にて撮影) pic.twitter.com/QMHKdLcgjo— KAGAYA (@KAGAYA_11949) January 17, 2017
শীতকালে যখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায় তখন টাকাচি নদীর মোহনার পানি জমে বরফ হয়ে যায়। অতঃপর সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে বরফগুলো খন্ড খন্ড হয়ে ভেঙ্গে পড়তে থাকে। ক্রমান্বয়ে এই বরফ খন্ডগুলো বালুতে গলে গিয়ে মিশে যায়।
এই বরফখন্ডগুলোর স্বচ্ছতা এবং বিশুদ্ধতা এদেরকে রত্নপাথরের সদৃশ করে বিশেষ করে দিনের সময় অনুযায়ী ওগুলো হতে যখন কমলা বা লালচে আভা বিকিরিত হয় তখন। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে টোকাচি নদীর মোহনাই এক মাত্র এলাকা যেখানে এধরনের বরফ খন্ডের উপস্থিতি জানা গেছে। তবে উত্তর মেরুর হিমবাহ থেকে গলে নেমে আসা বরফ খন্ডগুলোতেও এই ধরনের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক